bd-onlinemagazine জহিরুল ইসলাম।

রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতাল – ২(মহিলা ও শিশু)নিচতলায় নিজস্ব ফার্মেসি যেন কসাইখানা। বাইরের ফার্মেসির তুলনায় এসব হাসপাতালের ফার্মেসিতে ওষুধের দাম নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি। আর বাড়তি দামে ওষুধ কিনে অর্থ সংকটে পড়ছে রোগীরা। আশপাশের প্রাইভেট ফার্মেসির তুলনায় লাগামহীন ওষুধের দাম নিতে দেখা গেছে” BADAS PHARMACY ” তাদের। এই হাসপাতালে ফার্মেসি কাছে রীতিমতো জিম্মি রোগীরা। অবাক করার মতো ঘটনা হলো যখন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপির থেকেও বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠে। তখন বলে আমাদের ওষুধ দাম বেশি কারন একনাম্বার! বাহিরে ফার্মেসি দুইনাম্বার অযুক্তি কথা বলে সমাধান দিতে চায়। এই হাসপাতাল ফার্মেসি ঘুরে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে রোগীদের ও ক্রেতাদের কাছ থেকে। ভয়ে অনেকে ফার্মেসি ব্যাপারে বলতে চায় না। এই BADAS PHARMACY ব্যাপারে ওষুধ ক্রেতারা ক্ষুব্ধ । বারডেম জেনারেল হাসপাতালে -২ মহিলা ও শিশু)১/এ ইব্রাহিম সরণি সেগুনবাগিচায়। আমার পরিচিত এই হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্ত্রী কে গর্ভপাত করা জন্য । এই হাসপাতালে চিকিৎসা করান । আমার কাছে অভিযোগ করেন করে বলেন,তার স্ত্রী ডেলিভারি রোগীর জন্য কিছু ওষুধ লিখে দেন ওই হাসপাতালের ডাক্তার। তিনি প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ফার্মেসিতে যাওয়ার পর তার কাছে ওষুধগুলোর দাম রাখা হয় দুইগুন বেশি দামে। আমি বিশ্বাস করে ওষুধ গুলো ক্রয় করি। সময় কম কারনে অন্য অন্য বাহিরে ফার্মেসির দেখা হয় নাই। কম দামে পিপিই কিনতে গেলে ছয়শত টাকা চায়, আমি বাহিরে ফার্মেসির দাম জিজ্ঞেস করলে বলে তিনশত টাকা! আমি আমার স্ত্রী ডেলিভারি জন্য যে ওষুধ কিনেছি হাসপাতাল নিচতলা ফার্মেসি থেকে দাম রেখেছে ৬৪৭৭ টাকা! পয়ত্রিশ শত টাকা বেশি । তখন বেশি দাম মনে হওয়ায় হাসপাতালটির পাশের অন্য একটি ফার্মেসিতে যাচাই করতে গেলে সেখানে দাম চাওয়া হয় ৩৫০০ টাকা। তিন হাজার টাকার বেশি! ওষুধের মধ্যে এত তফাত দেখে তার মাথা ঘুরে যায়। মানুষের সেবা নামের ডাকাতি করছে। তারা চালাকি করে ওষুধে বিলে সাথে ওষুধে নামে সাথে মিল নাই। এই বিষয়ে ফার্মেসি পরিচালকের সাথে কথা বললে বলে আপনি সাংবাদিক কি হয়েছে আপনার থেকে বড় যারা তাদের পকেটে রাখি। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না চলে যান। আমি ঔষধ অধিদপ্তরের ও ভোক্তা অধিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *