সংক্ষেপে মতামত :

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সহ- সপরিবারকে হত্যা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগাস্টে ভোরে, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর একটি বিপদগামী দল, শেখ মুজিবের ধানমন্ডি ৩২ রোড, বাসভবনে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে তাঁকে হত্যা করে। ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বেগম ফজিলতুন্নেছা মুজিব ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরও ২৬ জন। এদের মধ্যে যারা বেঁচে গিয়েছিল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন। খন্দকার মোশতাক ১৫ আগাষ্ট ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু ও সপরিবারকে হত্যা করে, বাংলাদেশকে পূণরায় পাকিস্তান করতে চেয়েছিল খন্দকার মোশতাক। হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমদ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাপর খন্দকার মোশতাক মীর জাফরি কায়দায় রাস্ট্রপতির পদে ক্ষমতায় থাকেন ৮১দিন। তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান দেন।
খন্দকার মোশতাকে নিদের্শে জেলখানা চার নেতাকে হত্যা করে কারণ বঙ্গবন্ধু ও সপরিবার হত্যা বিচার না করতে পারে ও আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করা জন্য, চার নেতাকে কি ভাবে হত্যা করে ঘটনা তুলে ধরা হল :
সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাতের অন্ধকারে জাতির চার মহান সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চারনেতা, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে বিরল। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরে দুটি হত্যাকাণ্ড- মানব ইতিহাসে চির কলঙ্কের সৃষ্টি করে।
বিশ্বাস ঘাতকরা কখন সফল হতে পারে না। খন্দকার মোশতাক কি ভাবে ক্ষমতা হারালো তা তুলে ধরা হল : ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকান্ডের পর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপরে ঐ বছরের ২৫শে আগষ্ট জিয়াউর রহমান চীফ অফ আর্মী স্টাফ নিযুক্ত হন। ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর বীর বিক্রম কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের সহায়তায় বীর উত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান। এর ফলে ৬ই নভেম্বর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হন। এর পর জিয়াউর রহমানকে চীফ-অফ-আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তাঁর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয় যা সেনাবাহিনীর মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তার কারনে অত্যন্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় এবং জিয়ার প্রতি অবিচার করায় ক্ষুদ্ধ সেনাসদস্যরা ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার আরেক পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং জিয়াউর রহমানকে তাঁর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্ত করেন। তার পর জিয়া রহমান রাষ্ট্রপতি হন।
বিঃ দ্রঃ আমার লেখা ভুল হলে ক্ষমা করবেন, আমি কিছু ঘটনা ইন্টানেট থেকে সংগ্রহীত করেছি।
সম্পাদক
জহিরুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *