লাইফস্টাইল ডেস্ক বিডি-অনলাইনম ম্যাগাজিন ডটকম
শাড়ি এমন একটা পোশাক যা পরলে আপনি একইসঙ্গে হয়ে
ওঠেন সেক্সি এবং গর্জিয়াস। কিন্তু শাড়ি পরার আগে বিভিন্ন
জিনিস মাথায় রাখা খুব জরুরি‚ না হলে আপনার সাজটাই মাটি হবে।
তাই শাড়ি পরার সময় নীচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:
সঠিক জুতো পরুন:
শাড়ির সঙ্গে কোনদিন প্ল্যাটফর্ম হিল এবং ওয়েজেস
পরবেন না। এছাড়াও একদম ফ্ল্যাট চটিও ভালো দেখায় না
শাড়ির সঙ্গে। চেষ্টা করুন হাই হিল পরার।
হেভি জুয়েলারি এড়িয়ে চলুন:
আমরা অনেকেই শাড়ি পরলে গা ভর্তি গয়না পরে ফেলি।
ফলে আপনাকে গয়নার দোকান ছাড়া আর কিছুই মনে হবে
না। শাড়িতে যদি হেভি এমব্রয়ডারি কাজ থাকে তাহলে যতটা
পারবেন অল্প গয়না পরার চেষ্টা করুন।
বেশি এক্সপেরিমেন্ট করবেন না:
অনেক রকমভাবেই শাড়ি পরা যায় ঠিকই‚ কিন্তু যেভাবে
আপনি শাড়ি পরতে অভ্যস্ত সেই ভাবেই পরুন। হঠাৎ করে
একদিন এক্সপেরিমেন্ট করে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার আগে
অন্য ভাবে শাড়ি পরা কিন্তু একেবারেই ভালো আইডিয়া নয়।
উপলক্ষ বুঝে সঠিক শাড়ি নির্বাচন করুন:
এই ভুল আমরা মাঝেই মাঝেই করে থাকি। অনেক শাড়ির
মধ্যে আমাদের কিছু প্রিয় শাড়ি থাকে এবং আমরা যে
কোন উপলক্ষে ওই শাড়িগুলো পরে ফেলি। যেমন
ধরুন ফর্মাল কোন উপলক্ষে ভারি কাজ করা শাড়ি না পরাই
ভালো। আবার অফিস পার্টিতে নেটের সি থ্রু শাড়ি
একেবারেই ‘আ স্ট্রিক্ট নো নো’।
চারিদিকে সেফটি পিন লাগাবেন না:
অনেকেই শাড়ি পরতে অভ্যস্ত নন‚ ফলে শাড়ি ম্যানেজ
করা তাদের পক্ষে একটু অসুবিধার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নিরুপায়
হয়ে তাই চারিদিকে সেফটি পিন লাগিয়ে শাড়ি ম্যানেজ করার
চেষ্টা করে অনেক মহিলাই। এটা না করাই ভালো‚ আর যদি
একাধিক পিন লাগান তাহলে লক্ষ্য রাখবেন তা যেন শাড়ির
ফাঁকে লুকোনো থাকে। বাইরের দিকে করে পিন
লাগাবেন না‚ খুবই দৃষ্টিকটু লাগে।
সঠিক ব্লাউজ পরুন:
যত টেম্পটিংই হোক না কেন সেক্সি এবং টাইট ব্লাউজ
ভুলেও পরবেন না। যদি পিঠ খোলা স্ট্রাপলেস ব্লাউজ
পরতে চান তাহলে আপনার ফিগার ও সেই ভাবে তৈরি করুন।
একই সঙ্গে লুজ ফিটিং ব্লাউজও পরবেন না।
সঠিক পেটিকোট নির্বাচন করুন:
কুঁচি দেওয়া শায়া পরবেন না‚ এইরকম পেটিকোটে
আপনাকে মোটা দেখাবে। এছাড়াও এ ধরনের শায়া
পরলে শাড়ি ম্যানেজ করাও খুব কঠিন হয়ে যায়। তাই প্লেন
এবং ফিটেড পেটিকোট পরুন।
মডেল: ইয়াসিন আহমেদ সকাল।