জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদক
বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম
Published 3 Feb 2023. 4.am
সন্ধ্যা হলেই রাজধানীর লক্ষীবাজার ফুটপাতে জ্বলে উঠে কয়েক হাজার বৈদ্যুতিক বাতি।
স্থানীয় প্রভাবশালী ও একশ্রেণির দালাল এসব বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। তাদের সাথে পকেট ভরছে ডিপিডিসির একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে তাই বিদ্যুৎ চুরি বন্ধের এখন জরুরি। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া গণহারে বিদ্যুৎ চুরি সম্ভব নয়। যা সিস্টেম লস হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আর এসব লস নিয়মিত ভোক্তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে আদায় করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এই ব্যাপারে অনেক পত্রিকা নিউজ হয়েছে এবং টিভির চ্যানেলে প্রতিবেদন হয়েছে, সরকার কেন ব্যবস্তা নিচ্ছেন না!! এটার জাতির জন্য দুঃখ জনক। সরকারে কাছে দাবি বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করে, বিদ্যুৎ বিল কমানো। মরার উপর খাড়ার ঘা। আমাদের সংসারের খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হয়।
অবৈধভাবে ব্যবহূত এই বিদ্যুৎ-এর সঠিক কোনো হিসাবও কারো কাছেই নেই। তবে ডিপিডিসি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে প্রাপ্ত আনুমানিক হিসেবে দেখা যায়, শুধু ঢাকা শহরেই ডিপিডিসির (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। আর এ অবৈধ বিদ্যুতের অধিকাংশই ব্যবহার করা হচ্ছে রাতের বেলায় ঢাকার ফুটপাতে। ফুটপাতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য মিটারের ব্যবস্থা নেই। তাই কতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে তারও কোনো হিসাব নেই।