জহিরুল ইসলাম, প্রতিবেদক বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম,Published Sun, 24 Feb,,2025, 4.15 am
অঞ্জনা বোন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অঞ্জনা মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন চায়, সঠিক তদন্ত চায়, এই মৃত্যু বিচার চায়। তার মৃত্যু রহস্য অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান, তার ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফরম করেছেন।দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমাতে কাজ করেছেন তিনি।সিনেমায় আসার আগেই অঞ্জনা পরিচিতি পান নৃত্যশিল্পী হিসেবে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিটে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর কেউ বলছে অঞ্জনার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আবার কেউ বলছে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি মরদেহ গোসলের সময় অভিনেত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার মধ্যে নানা প্রশ্ন ওঠে। সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে অঞ্জনার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।

 

তারপর অভিযোগের তীর এসে দাঁড়ায় অঞ্জনার কথিত ছেলে নিশাত মনির দিকে। একাধিক শিল্পী অভিযোগ করেন, অঞ্জনার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে কথিত সন্তান নিশাত মনি!
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন অঞ্জনার বোন রঞ্জনাও। রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অঞ্জনার মৃত্যু রহস্য উন্মোচন এবং সম্পদের হিসেব চেয়ে বিচার জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া চিকিৎসায় অবহেলাসহ আরও কিছু কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রীর কাছের কয়েকজন শিল্পী অভিযোগ তুলেছিলেন।

 

এক্ষেত্রে অঞ্জনার পালিত ছেলে নিশাত মনিকে সন্দেহও করেছেন অনেকে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটি।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়ক আলমগীর, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, অভিনেতা ডিএ তায়েব, সুব্রত, সনি রহমান, অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি, অঞ্জনা রহমানের বোন রঞ্জনা ও পালিত মেয়ে জামাই কামরুল আলম রিপনসহ আরও অনেকে।

 

অভিযোগ নিয়ে অভিনেত্রীর কথিত ছেলে, জামাই ও ড্রাইভারকে সম্পদের হিসাব এবং অবহেলা নিয়ে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির মুখপাত্র এবং সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

তায়েব বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসাবাদে অনেক কিছু ঘোলাটে লাগছে। মনি, ড্রাইভারের নাম ও আইডি কার্ডে কোনো মিল নেই। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। ৩ দিনের মধ্যে কথিত সন্তান মনি এবং রিপন পুরো বিষয় নিয়ে মুখ না খোলে তখন আইনিভাবে বিষয়টি দেখা হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নিশাত মনি বলেন, আমি ৩ দিনের মধ্যে শিল্পী সমিতিতে সব হিসেব জমা দেব। আমি যদি অপরাধী প্রমাণিত হই, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নেব।
উল্লেখ্য, ৬ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর ২২ ডিসেম্বর অঞ্জনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ে। অবস্থা উন্নত না হওয়ায় ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে অঞ্জনাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। ৩ জানুয়ারি রাত ১টা ১০ মিনিটে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অঞ্জনা। মিডিয়া অনেকে বলে আইনের মাধ্যমে তদন্ত করলে ভালো হয়। তারা বলে আমরা সঠিক বিচার চাই।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *