জহিরুল ইসলাম, প্রতিবেদক বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম,Published wed, 9 Mar, 2025, 5, 35 am
ইমরান হোসাইন বলেন, পশুপালনের ছোট্ট একটি খামার দিয়ে যাত্রা শুরু, ১৬ বছর আগে পশু পালনের ব্যবসায় জড়ান তিনি। ছাগলকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন, সমালোচনা বিতর্কিত পড়েন, তাকে অনেকে কালোবাজারি বলেন, এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার দাদার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও নানার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলায়। ১০ ভাইবোনের মধ্যে ইমরান ৯ নম্বর। সবার জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকার কলাবাগানে।

ইমরান বলেন, তার বাবার ছিলো একটি ঢেউটিনের কারখানা। সেটাই এখন চার ভাই মিলে চালান। পাশাপাশি রয়েছে খামারের বাণিজ্য, যেখানে দুগ্ধ উৎপাদন ও গরু মোটাতাজাকরণ; দুটোই সমানতালে চলে।
সোমবার বিকেলে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সিআইডি জানিয়েছে, ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলা রয়েছে এবং সিআইডির অনুসন্ধানে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় চলতি বছরের ৩ মার্চ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে, মানিলন্ডারিং, চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি, ভুটান ও নেপাল হতে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু/ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু/ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয় করে সাদিক অ্যাগ্রো।

অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর করেন ইমরান হোসেন।

জানা যায়, সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হেফাজতে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রির কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজেপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হয়।

এছাড়াও অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মাদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও দখল করে সাদিক অ্যাগ্রো। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ইমরান হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে মোট ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে রূপান্তর করেছে। যার সর্বমোট পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৫৫ হাজার ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা।

বিঃদ্রঃ -১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *