জহিরুল ইসলাম, প্রতিনিধি,বিডি-অনলাইন
ম্যাগাজিন ডটকম,Published. Fri, Jun 15, 2025, 4,10
ভালো নেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের খাত চামড়া শিল্পের আয়োজকেরা। অসংখ্য সমস্যা, জটিলতার জেরে বছরের পর বছর ধরে তারা লোকসান দিচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আমরা গাছের গুড়া কেঁটে পানি দিচ্ছি!!
<span;>ঈদুল আজহার কোরবানি কেন্দ্র করে চামড়ার বাজারে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে এবং কোন কোন জাগায় চামড়া বিক্রি করতে পারে নাই, বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা হতাশ। কোথাও কোথাও দেখা গেছে অবিক্রীত চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়, যা পরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে আমরা গাছের গুড়া কেঁটে পানি দিচ্ছি!!
এই বিষয় মনিটরিং করে জানাযায়, বিগত সরকার চামড়ার ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করেছে। চামড়ার ইন্ডাস্ট্রি ব্যবসায়ীরা নীরব ছিল।
(বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন,বিগত সরকার সময় থেকে কাঁচা চামড়ার প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায়, বিশেষ করে সিইটিপির অভাবে দেশের চামড়া শিল্পের বৈশি^ক চাহিদা কমছে। এ কারণে দিন দিন এ শিল্প খারাপের দিকে যাচ্ছে। কোরবানির মৌসুমে বিপুল চামড়া সংগ্রহ করা হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ক্রেতার অভাবে অনেক চামড়া অবিক্রীত থাকে। গত বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ চামড়া এখনও অবিক্রীত। এবার কোরবানির ঈদেও চামড়া সংগ্রহ অনেক কম হবে বলে মনে করেছিলেন।
এদিকে কোরবানির চামড়ার চাহিদা বৃদ্ধি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। গত এক দশকের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। যে কারণে কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির শর্ত তিন মাসের জন্য শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা-ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি করা গেলে দেশে চামড়ার চাহিদা বাড়বে, ভালো দাম পাবেন বিক্রেতারা।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকা চেম্বারের এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, সিইটিপির সমস্যা অব্যাহত থাকায় ১০ বছরে চামড়া রপ্তানি ৬৪ শতাংশ কমেছে। তারা বলেন, সিইটিপি কার্যকর করা গেলে চামড়া রপ্তানি দ্বিগুণ হবে।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি মো. নাসিম মঞ্জুর আংশিক কিছু কথা কালের কণ্ঠকে থেকে তুলে ধরা হল, ‘চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও পুরো চামড়া খাতের কমপ্লাইনেস নিশ্চিত করা না গেলে সামনে আরো বেশি সংকট তৈরি হতে পারে।
এ জন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের সাভারের চামড়া পল্লীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি কার্যকর করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনেই উদাহরণ রয়েছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) সিইটিপি। ইউরোপের কারিগরি সহযোগিতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।’ এ ছাড়া বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।