নিজস্ব প্রতিবেদক বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম,
Published Wed, Jul 2, 2025, 1,19, am
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে দাবি ধষর্ণকারী ফজর আলী বিএনপি কর্মী না। সে আওয়ামিলীগের নেতার ছিল।
ওই নারী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খালি বাড়িতে ফজর আলী আমার ঘরের দরজা খোলার জন্য ডাক দেয়। আমি না খোলায় সে দরজাটা ভেঙে ফেলে। ভেতরে ঢুকে আমার উপর অত্যাচার করে।
এর মধ্যেই সাত-আটজন লোক আমার ঘরে ঢুকে ফজর আলীকেও মারছে, আমাকেও মারছে। তার ছোট ভাই শাহ পরানই ইন্ধন দিয়েছে। পরদিন (শুক্রবার) আমি থানায় একটা মামলা করেছি।”
ওই নারী দিন ১৫ আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন, তার স্বামী প্রবাসী। সুদে টাকা ধার নেওয়ার সূত্রে ফজর আলীর সঙ্গে আগে থেকেই তার পরিবারের যোগাযোগ ছিল। সে কারণেই পরিচয়, এর বাইরে ‘আর কোনো সম্পর্ক’ নেই বলেও দাবি করেন ওই নারী।
‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন।
রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্ত’ চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ওই এলাকার (মুরাদনগর) একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন।”
এদিকে বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা ফজর আলীকে বিএনপির কর্মী বলে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি।
কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুরাদনগরের ধর্ষক ফজর আলীকে বিএনপির কর্মী হিসেবে প্রচার চালানো হচ্ছে, যা সত্য নয়। ফজর আলীর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত সে আওয়ামী লীগের ক্যাডার। গত ১৫ বছরে সে মুরাদনগরে অসংখ্য অপকর্ম ঘটিয়েছে। আমরা তার বিচার চাই।”
এসময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা ফজর আলীর ছবিও প্রদর্শন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ফজর আলীকে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির (চেয়ারম্যান) ‘বডিগার্ড’ হিসেবে দাবি করা হয়।
যদিও ওই জনপ্রতিনিধি দাবি করেছেন, ফজর আলী তার ‘বডিগার্ড’ ছিলেন না। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে তোলা ছবিগুলো দিয়েই মানুষ এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোল্লা মুজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক দয়ানন্দ ঠাকুর, উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক কাজী তাহমিনা আক্তার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।