Oplus_131072

জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদক বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম,
Published Mon Sep 8, 2025, 12, 55, pm

ইসহাক সরকার ফ্যাসিবাদ সরকার সময় মিথ্যার মামলায় জর্জরিত ছিলেন, মোহাম্মদ ইসহাক সরকার শুধু একজন সংগঠক নন, বরং আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথে ছিলেন, দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘ সময় রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন।
স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইসহাক সরকারকে বহুবার কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের করতে গিয়ে তিনি তিনশত বেশি মিথ্যা মামলার আসামী—যা ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে বিরল। জীবনের অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। এমনকি কারাবন্দী অবস্থায় পিতৃবিয়োগের মতো কঠিন শোকও সহ্য করতে হয়েছে তাকে।

রাজধানীর একাধিক থানার ১১ নাশকতার মামলায় দণ্ডিত যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আজ রবিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজের একাধিক আদালত ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে ১১ মামলায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারকরা আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

‎ইসহাকের আইনজীবী মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসহাকের বিরুদ্ধে মোট ৩৬৫টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ মামলায় মহানগর দায়রা আদালত তাকে ২২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। আমরা মহানগর দায়রা জজ ও সিএমএম আদালতের ১১টি মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেছিলাম। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

‎দন্ডিত মামলাগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর নাশকতার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-১ এর বিচারক আশেক ইমামইসহাক সরকারের ৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও একই বছরের ৭ আগস্ট গাড়ি ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ইসহাক আলী সরকারসহ ২১ জনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *