Oplus_131072

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডি—অনলাইন ম্যাগাজিন,Published. Sun.,Nov23..2025, 2.., 55..pm

পুরান ঢাকার পাঁচ তলা ভবনের ভূমিকম্পে বিল্ডিংয়ের ছাদে রেলিং ভেঙে পড়ে কসাইতলীতে তিনজন নিহত হওয়ার পর আতঙ্কে বসবাস করছে পুরান ঢাকাবাসী

 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভবন হেলা পড়াসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি( ২৬ সেকেন্ড) স্থায়ী ছিল।

গোপালগঞ্জ, নড়াইল, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সাতক্ষীরায়, নরসিংদী, যশোর, জামালপুর, দিনাজপুর, ঝালকাঠি, কুমিল্লা, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট, মাদারীপুর, শেরপুর, সিলেট, ফেনী, খুলনার সময় সংবাদরে প্রতিনিধিরাও ভূমিকম্পের তথ্য জানান।
ভূমিকম্প হলে সতর্কতায় নিরাপদ ও ফাঁকা স্থানে অবস্থান নিতে বলা হয়। কিন্তু পুরান ঢাকার বাস্তবতা কি এমন?

 

এখানে একটি বাড়ির সঙ্গে আরেকটি বাড়ি লাগোয়া। সরু গলি, তার মধ্যে দিয়ে রিকশা বেরোলে পথচারীর হাঁটারও জায়গা নেই। ভিড় এমন যে, এক মুহূর্ত অসতর্ক হলেই পাশে হাঁটা মানুষের গায়ে লেগে যায়। এমন শহুরে ঘিঞ্জি পরিবেশে ভূমিকম্পের সময় মানুষ যাবে কোথায়- প্রশ্নটা তাই নতুন করে সামনে এসেছে।

বংশালের কাছে কসাইটুলি এলাকায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সেই প্রশ্ন আরও তীব্র করেছে। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির পর পাঁচ তলা ভবনের ছাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী (রেলিং) ভেঙে নিচে পড়ে নিহত হন তিন পথচারী। গুরুতর আহত হন অনেকে।

‘ধরুন ভূমিকম্পের কম্পনে ভয় পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে দাঁড়ালেন নিরাপত্তার আশায়। কিন্তু মাথার ওপর থেকে পড়ে গেলো কোনো ভবনের ইট, ফুলের টব বা ভাঙা কংক্রিটের টুকরো। তবে কি ঘরের ভেতরে থাকা নিরাপদ, নাকি বাইরে?’ এরকম প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
পুরান ঢাকার ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িই ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ ও সামগ্রিক উন্নয়ন ছাড়া উপায় নেই। এজন্য প্রয়োজনে কঠোর আইন করে হলেও, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *