জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদক

বিডি-অনলাইনম ম্যাগাজিন ডটকম

Published 11oct 2022, 2.40pm

নারীর ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা না থাকার অন্যতম কারণ ইনফেকশন হয়, “জরায়ুর”

 

অভিনেত্রী ও মডেলিং চমক  তারা বলেন, “১০ অক্টোবর পিরিয়ড প্যাড দিবস তাই আমি সচেতন মুলক পদক্ষেপ নিয়েছি। “আমার প্রথম কথা পিরিয়ড কোনো রোগ নয়, তাহলে লজ্জার বিষয় কেন আসবে? আমি চাই পিরিয়ড নিয়ে ছেলে এবং মেয়ে সবার জ্ঞান থাকা উচিত। তাতে করে ছেলেরা মেয়ে দের লজ্জা দিবে না, এবং মেয়ে রা নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হবে,
এবং আমার চাওয়া প্যাড এর মূল্য কম করা হোক। যাতে করে নিম্ন শ্রেণীর নারী রাও প্যাড কিনতে পারে। কারণ প্রপার মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইনটেইন না করলে। অনেক রোগ হয় তার মধ্যে জরায়ুর ক্যান্সার একটি।”

 

সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আইসিডিডিআরবি’র চালানো ২০১৪ সালের ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভেতে বলা হয়েছে, পিরিয়ডের সময়কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রায় কোন ধারণাই নাই বেশির ভাগ নারীর।

এ নিয়ে সচেতন না থাকার কারণে নানা রকম অসুখবিসুখও হয় বলে শোনা যায়। আর তা সম্পর্কেও হয়ত জানেন না অনেকে।

গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে নারী স্বাস্থ্য, বিশেষ করে নারীর প্রজননস্বাস্থ্য এবং পিরিয়ড বা মাসিকের সময়ে পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা না থাকার অন্যতম কারণ সমাজের রক্ষণশীলতা।

আইসিডিডিআরবি’র গবেষণা কর্মকর্তা ফারহানা সুলতানা বলছেন তেমনটাই, “আমরা দেখেছি, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে সংকোচ আছে, অজ্ঞতা আছে। লোকে এ নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে চায় না।”

“স্কুলগুলোয় পিরিয়ড সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা একেবারেই নেই। এসব কারণেই মেয়েদের অনেক সময় দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।”

পিরিয়ডের মত একটা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক বিষয় নিয়ে লজ্জা আর সংকোচের শেষ নেই বাংলাদেশের সমাজে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ট্যাবু পুষে না রেখে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা আর সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এড়ানো যাবে নানা ধরণের অসুখবিসুখ।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *