নিজস্ব প্রতিবেদক

বিডি-অনলাইন ম্যাগাজিন ডটকম

Published 25 Jan,2023.2.30 pm

 

 

খুলনা সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের ছাত্রী বটিয়াঘাটা উপজেলার ঠিকরাবাদ গ্রামের নারায়ণ মন্ডলের কন্যা ইতিমা মন্ডল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাঁচার ও   বসতবাড়ী উদ্ধারে আকুতি আবেদন     জানিয়েছেন।

 

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনে জানান, খুলনার বটিয়াঘাটার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু সুরঞ্জন সুতার’র হাত থেকে আমাকে ও আমার পরিবার সদস্যদের বাঁচান। সুরঞ্জন সুতার তাদের মাথা গোজার শেষ সম্বল বটিয়াঘাটার ঠিকরাবাদ গ্রামের বসতবাড়ীটি গ্যাস করে নিয়ে, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। সুরঞ্জন সুতার ভয়ে তারা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। দেশ থেকে ভারতে চলে না গেলে, সুরঞ্জন সুতার তাকে ধর্ষন করে হত্যা করে ফেলবে এবং তার পরিবার সদস্যদের পেট্রোল দিয়ে জ্বালানি পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাঁর ভয়ে জীবন বাচাঁতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলে, লবনচেরা থানা থেকে চরম দুঃব্যবহারে করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বহু কস্ট করে বার বার থানায় ধর্না দিয়ে একটা সাধারণত ডায়েরি নিয়েছে। যার ডায়েরি নং ৭৭৩ তারিখ ১৯/৮/২০২২। থানা পুলিশ এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেয় নি।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় এক সময়ের হত-দরিদ্র নারায়ণ সুতার’র পুত্র সুরঞ্জন সুতার গত কয়েক বছরের ব্যবধানে সাব রেজিস্ট্রার ও ভুমি অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জোগ সাজসে জাল দলিল তৈরি করে শত শত বিঘা ভিপি সম্পত্তি বিক্রি, নিরীহ মানুষের সম্পত্তি গ্রাস করে বিক্রি, ডাকাতি, ভুমি দস্যুতা, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, এমন কি পিলার ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকার পাহাড় করেছে। ইতিমা মন্ডল জানান, তার পিতা নারায়ণ মন্ডল তাঁর ঠাকুরদাদা দশরথ মন্ডলের একমাত্র সন্তান। ঠাকুর দাদা দশরথ মন্ডল ২০০৯ সালে মৃত্যুবরন করেন। দশরথ মন্ডলের মৃত্যু হলে নারায়ণ মন্ডল তাঁর একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে বসতবাড়ী সহ ভিটা মাটি ৫৩.২৫ শতাংশ সম্পত্তির পৈত্রিক সুত্রে মালিক হন। ২০১৬ সালে উক্ত ৫৩.২৫ শতাংশ বসতবাড়িসহ ভিটার জমি নারায়ণ মন্ডলের নামে নামজারি ও রেকর্ডভুক্ত হয়।খুলনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু সুরঞ্জন সুতার এর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তাদের বসতবাড়ী পৈত্রিক সম্প্রত্তি ও তার উপর। সুরঞ্জন সুতার পরিকল্পিত ভাবে গোলাম সারওয়ার মল্লিক পিতা মৃত আকছের মল্লিক ১৪, জাহিদুর রহমান রোড,খুলনা এর নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বে-নামী ২ টি জাল দলিল তৈরী করে। যার দলিল নং ২৬৪৫/৯২ তাং১০/১১/১৯৯২ ও ২০৯১/২০২১ তারিথ ১১/৩/২০২১। প্রশ্ন হলো দশরথ মন্ডল ২০০৯ মৃত্যু বরন করার পর কি ভাবে ঐ মৃত্যু ব্যক্তি ২০২১ সালে জমি রেজিস্ট্রি করে দিলেন?

নারায়ন মন্ডলের নাম ২০১৬ সালে রেকর্ড থাকা সত্যে এসি ল্যান্ড ও তার হেডক্লার্ক নাসিম মোটা অংকের বিনিময়ে ২০১৯ সালে বে-অাইনী ভাবে গোলাম সারওয়ার মল্লিক এর নাম রেকর্ড দেন।
এই অবৈধ রেকর্ডের বিরুদ্ধে নারায়ন মন্ডল বটিয়াঘাটা এসি ল্যান্ড অফিসে ১৫০ ধারার মামলা দায়ের করেন। খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল মামলা বিচারাধীন ( মামলা নং ১০৯১/১৪ তারিখ ২৮/৮/২০১৪) , খুলনা বটিয়াঘাটা সহকারী জজ আদালত ( মামলা নং ১৪৬/২০২০ ) ও বিঞ্জ মহা নগর হাকিম আদালতে মামলা ( মামলা নং ১৪৫/২২ সি.অর তারিখ ৫/৯/২০২২) বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বটিয়াঘাটার এসি ল্যান্ড মাসুদ ও হেডক্লার্ক নাসির মোটা অংকের বিনিময়ে বে-আইনি ভাবে সুরঞ্জন সুতার এর বে-নামি গোলাম সরোয়ার পক্ষে ১৫০ ধারা রায় দিয়ে, নারায়ন মন্ডলের রেকর্ডিয় পৈত্রিক সম্পত্তির রেকর্ড বাতিল করে দেয় এবং সম্পুর্ন বে-আইনিভাবে গোলাম সরোয়ার এর নামজারি করে দেয়। ইতিমা মন্ডল প্রশ্ন করেন, নারায়ণ মন্ডল ও গোলাম সরোয়ার এর তপশিল ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্যেও কি ভাবে বটিয়াঘাটা এসি ল্যান্ড নারায়ণ মন্ডলের সম্পত্তি গোলাম সরোয়ার এর নামে নামজারি করে দিলেন? বিষয়টা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

নামজারি পেয়ে সুরঞ্জন সুতার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সুরঞ্জন সুতার ইতিমা মন্ডলের অসুস্থ পিতা মাতা সহ পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে ৭ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাদের বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। গত ১৯ জানুয়ারী প্রকাশ্যে তাঁর অসুস্থ বাবাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এই বলে হুমকি দেয়, “আগামী ৭ দিনের মধ্যে বসতবাড়ী ছেড়ে ভারতে চলে না গেছে, প্রকাশ্য তোর মেয়েকে রেফ করে মেরে ফেলবো। তোর পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে মারবো। তোদের লাশের নাম নিশানা খুুজে পাবে না কেউ”। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী ইতিপুর্বে জমি গ্রাস করার জন্য অনেককে গুম করেছে। তার ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তাঁর অবৈধ টাকার কাছে স্থানীয় প্রশাসন জিম্মি। প্রশাসনের এক বড় আমলা ও সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবি টাকা বিনিময়ে তাকে সেল্টার দিচ্ছে। ইতিমা মন্ডল দাবী, যারা তার জাগায় দখল করা সহযোগী করেছে।তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগতভাবে ব্যবস্তা অনুরোধ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *