BD-ONLINEMAGAZINE: বিনোদন
প্রতিবেদক ঃ জহিরুল ইসলাম।
করোনা ভাইরাসের থাবায় বিশ্বজুড়ে চলছে অস্থিরতা। দ্রুত বিস্তারে আতঙ্কিত সবাই। আতঙ্ক এতেটাই বেশি যে দেশের অধিকাংশ এলাকা এখন ঘোষিত-অঘোষিত লকডাউনের আওতায়। এ অবস্থায় সব মিডিয়া কাজ বন্ধ এতে করে বিপাকে পড়েছেন বড় ও ছোট পর্দার নির্মাতারা, তাদের মধ্যে একজন সুমন সিরাজী।
তিনি হতাশকন্ঠে এই প্রতিবেদককে বলেন, বৈশাখী ও ঈদকে সামনে রেখে আমার তিনটি শর্ট ফিল্ম রিলিজ হত, এগুলো হল (ডালিয়ার ব্লাক মেইল, ক্রসফায়ার, এবং প্রেমিক মজনু ) সব কিছু ঠিকঠাক ছিল কিন্তু কোরোনা ভাইরাস আতঙ্কে সব কাজ বন্ধ হয়ে গেল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সম্ভব নয়। কারণ হাতে সময় খুব একটা নেই।
সমুন সিরাজী বলেন, যতদূর মনে হচ্ছে করোনাভাইরাসের থাবা আগামী দুই মাসেও শেষ হবে না। তবে আমার কষ্ট তরুন নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুতি নিয়েও শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করতে না পারার নয়; বরং কষ্ট হচ্ছে কঠিন এ রোগটিতে যারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। পাশাপাশি যারা রোগটির অজানা আতঙ্ক নিয়ে ঘরে নিজেকে লক -ডাউন করে রেখেছেন। এ অবস্থায় মানুষদের বিনোদিত করার কম সুযোগটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শুধু আমি নই অনেক নির্মাতারাই এই অবস্থা।
এমন অবস্থা অনেক তরুণ নির্মাতাই বেকার হয়ে পড়বেন। হাতছাড়া হয়ে যাবে অনেক কাজ। এ অবস্থার উত্তরণে ডিরেক্টও গিল্ড এবং শিল্পী সংঘকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কোভিড১৯ একটি ভয়াবহ ছোয়াচে রোগ। সারা পৃথিবীটাকে একদম থমকে দিয়েছে এই ভয়ংকর খালি চোখে দেখতে না পাওয়া ভাইরাসটি। সমগ্র পৃথিবীতে আজ লাশের মিছিল,আর কান্নার রোল। আমাদের সকলে প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশ আজ এই ভয়ংকর ভাইরাসে আক্রান্ত, এটা থেকে বাচতে হলে সব চেযে বড় প্রয়োজন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, সরকারী নির্দেশা মেনে চলা, সাস্থ্য সংশ্লিষ্ট দের পরামর্শ গুলো মেনে চলা, আতংকীত না হয়ে সবাই একতা বদ্ধ হয়ে একে মোকাবেলা করা, আমাদের কঠিন সচেতনতাই কেবল পারে আমাদের এ ভয়াবহ পরিস্থতি থেকে পরিত্রান পাওয়া, আসুন সবাই ঘরে থাকি,অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হই, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ও মুখ পরিস্কার করি,নিজে সুস্থ্য থাকি,পরিবার কে সুস্থ্য রাখি,ভাল রাখি বাংলাদেশ কে, ভাল থাকুক আমার বাংলাদেশ।