জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদক

বিডি-অনলাইনম ম্যাগাজিন ডটকম। ছবি সংগৃহীত অনলাইনে থেকে।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ করে, দুই ধরনের ম্যাসেজ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘নুরু ম্যাসেজ’ ও ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’। আরও লেখা আছে, ‘উই হ্যাভ নিউ ফোর গার্লস (আমাদের সংগ্রহে মডেলিং, স্টুডেন্ট, হাউজওয়াইফ সব ধরনে ব্যাবস্থা মেয়ে আছে।

 

ম্যাসেজ পার্লারের এমন বিজ্ঞাপনে ম্যাসেজ ছাড়াও স্পষ্টভাবে অন্যকিছুর ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে! ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, বিজ্ঞাপনে ‘নুরু ম্যাসেজের’ কথা উল্লেখ রয়েছে। নুরু ম্যাসেজ বলতে শরীরের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ম্যাসেজ করা বোঝায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনপ্রিয়। ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’ তার চেয়েও ভয়ংকর, এটি অনেকেরই জানা।

 

শুধু অ্যারোমা নয়, ঢাকা শহরে তাদের মতো প্রায় ডজনখানেক স্পা সেন্টার অশ্লীল বিজ্ঞাপন আর মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে বডি ম্যাসেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ তাদের কাছে নেই কোনো বৈধ কাগজ কিংবা ট্রেড লাইসেন্স। সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে হোটেল, বিউটি পার্লার, সেলুন আর ব্যায়ামাগারের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এ ব্যবসা, চলছে অশ্লীলতা।

পরিচয় গোপন করে সেবাগ্রহীতা সেজে বনানী স্পা ম্যাসেজ এখানে গিয়ে কথা হয় বনানী স্পা জোন’র কর্মী জসিম সঙ্গে। বনানী ৪ নং রোড চেয়ার ম্যান বাড়ি কাছে, কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে জসিম বলেন, ‘এখানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে।’

 

পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই কর্মী বলেন, ‘কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই।’
আমাদের এখানে সব ধরনে নেশাদ্রব্য পাবেন, আমরা ব্যাবস্থা করে দিতে পারব। তাকে বলি আপনার ম্যাসেজ স্পা রুম গুলো দেখান গিয়ে দেখি কোন ম্যাসেজ স্পা কোন স্টুমেন্ট নাই শুধু খাট ডাস্টবিন মধ্যে কডম বড়া নোংরা পরিবেশ মিনি পতিতালয়। ১৫জন মেয় একরুমে। প্রশাসনের কোন ভয় নাই তাদের। আমি বলি প্রতিদিন কত টাকা কাজ হয় সে বলে আপনার জানা দরকার কি? আমার জানা ইচ্ছে করছে তাই একলক্ষ টাকা মত বল কি এত টাকা এখন তো কম আগে দুইলক্ষ টাকা হত। তাকে বলি আমি অন্যদিন আসব। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা জন্য।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *